ডায়াবেটিস রোগের বিষয়ে কিছু কথা:
যারা তথাকথিত ডায়াবেটিস রোগী, তারা কি বাস্তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? প্রশ্নটা উঠছে এই কারণে যে, ডায়াবেটিস রোগের উপসর্গ অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র ব্লাডসুগার টেস্টের ভিত্তিতে তাদেরকে ডায়াবেটিস রোগী বলে ঘোষণা করা হয়। বিশেষত খালি পেটে সকালবেলায় ব্লাড সুগার টেস্ট করা হয়। এমন একটি ধারণা পোষণ করা হয় যে, সকালে খালি পেটে মানুষের রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। এই ধারণা অনুসারে যদি রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায় যে, শর্করার মাত্রা অধিক তাহলে সেই ব্যক্তিকে ডায়াবেটিস রোগী বলে প্রতিপন্ন করা হয়। কিন্তু প্রকৃত চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে জানা গেছে যে, খালি পেটে সকালবেলায় ব্লাডসুগার কম থাকে না বরং বেশি থাকে অর্থাৎ গ্লুকোজের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে। আসুন, এই বিষয়টা সঠিকভাবে বুঝে নেওয়া যাক:
* সারারাত কিছু না খাওয়া বা দীর্ঘসময় খাদ্যের অভাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায় ভোরবেলায়। তখন কোষগুলি গ্লুকোজের অভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বা এনার্জি উৎপন্ন করতে পারে না। ফলত শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া কলাপ ব্যাহত হতে পারে এবং ব্যক্তি তার বাহ্যিক কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে দুর্বলতা অনুভব করবে। কিন্তু এই খারাপ পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তাই শরীর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একে বলে Dawn Phenomenon:
* তখন লিভার Glycogenolysis প্রক্রিয়ার দ্বারা তার বুকে সঞ্চিত গ্লাইকোজেনকে সরল গ্লুকোজে পরিণত করে এবং রক্তে বিমুক্ত করে দেয়। তাই সকালেও ব্লাডসুগার বাড়া থাকে বা স্বাভাবিক থাকে। এর ফলে মানুষ এনার্জি প্রাপ্ত করে এবং সকালবেলায় সুস্থভাবে তাদের কাজকর্ম করতে পারে।
* আবার কোনদিন সকালে কারোর অতিরিক্ত এনার্জি প্রয়োজন হলে কিডনিও সাহায্য করতে পারে। কিডনি তখন ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও গ্লিসারল ব্যবহার করেই গ্লুকোজ সংশ্লেষণের প্রক্রিয়ায় (Gluconeogenesis) নতুন গ্লুকোজ উৎপন্ন করে এবং তা রক্তে ছেড়ে দেয়।
উপরে উল্লেখিত তথ্য অনুসারে পরিষ্কার বোঝা গেল যে- প্রত্যহ সকালে শরীরের প্রকৃতি ও প্রয়োজন অনুসারে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, যা কিনা রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক স্তর বজায় রাখে। তাহলে সকালে ব্লাডসুগার টেস্ট করে কাউকে ডায়াবেটিস রোগী বলে চিহ্নিত করা কি সঠিক সিদ্ধান্ত?
এক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো যে, ব্লাডসুগারের নরমাল রেঞ্জ কত?
* সারারাত কিছু না খাওয়া বা দীর্ঘসময় খাদ্যের অভাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায় ভোরবেলায়। তখন কোষগুলি গ্লুকোজের অভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বা এনার্জি উৎপন্ন করতে পারে না। ফলত শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া কলাপ ব্যাহত হতে পারে এবং ব্যক্তি তার বাহ্যিক কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে দুর্বলতা অনুভব করবে। কিন্তু এই খারাপ পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তাই শরীর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একে বলে Dawn Phenomenon:
* তখন লিভার Glycogenolysis প্রক্রিয়ার দ্বারা তার বুকে সঞ্চিত গ্লাইকোজেনকে সরল গ্লুকোজে পরিণত করে এবং রক্তে বিমুক্ত করে দেয়। তাই সকালেও ব্লাডসুগার বাড়া থাকে বা স্বাভাবিক থাকে। এর ফলে মানুষ এনার্জি প্রাপ্ত করে এবং সকালবেলায় সুস্থভাবে তাদের কাজকর্ম করতে পারে।
* আবার কোনদিন সকালে কারোর অতিরিক্ত এনার্জি প্রয়োজন হলে কিডনিও সাহায্য করতে পারে। কিডনি তখন ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও গ্লিসারল ব্যবহার করেই গ্লুকোজ সংশ্লেষণের প্রক্রিয়ায় (Gluconeogenesis) নতুন গ্লুকোজ উৎপন্ন করে এবং তা রক্তে ছেড়ে দেয়।
উপরে উল্লেখিত তথ্য অনুসারে পরিষ্কার বোঝা গেল যে- প্রত্যহ সকালে শরীরের প্রকৃতি ও প্রয়োজন অনুসারে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, যা কিনা রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক স্তর বজায় রাখে। তাহলে সকালে ব্লাডসুগার টেস্ট করে কাউকে ডায়াবেটিস রোগী বলে চিহ্নিত করা কি সঠিক সিদ্ধান্ত?
এক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো যে, ব্লাডসুগারের নরমাল রেঞ্জ কত?
রক্তে গ্লুকোজ বা সুগারের পরিমাণ নির্ভর করে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের উপর, তার জীবনযাপন শৈলীর উপর এবং তার শারীরিক ও মানসিক সক্রিয়তার উপর। অতএব প্রত্যেকের শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন কারোর ১৫০ mg/dl আবার কারোর ৩০০ mg/dl হতে পারে। এই প্রসঙ্গে আরো কিছু নমুনা দেখা যাক, যেমন-
* ব্লাডসুগার বাড়া বা কমা হলো শরীরের সঠিক স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ, যাকে বলা হয় Homeostasis. অর্থাৎ প্রতিমুহূর্তে শরীরের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং বাহ্যিক প্রভাবের সাপেক্ষে সুস্থতা বজায় রাখার অনন্য কৌশল। এর সাথে যুক্ত থাকে কিছু Homeostatic factors. এইভাবে মানবদেহ তার Dynamic equilibrium (দুরন্ত ছন্দ) বজায় রাখে, যা সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
* সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে রক্তের সুগার ওঠা পড়া করে।
* আবার ঋতু বদলে গেলে সুগারের মাত্রাও পরিবর্তিত হয়, যেমন শীতকালে বেড়ে যায়।
* যৌন ক্রিয়াদির সময়ে বেড়ে যায়।
* মানসিক অবসাদ বা অস্থিরতার ফলে রক্তে গ্লুকোজ বাড়া থাকে।
* মাসিকধর্মে মহিলাদের ব্লাডসুগার বেড়ে যায়।
* আবার অসুখ বিসুখের উপর নির্ভর করে, যেমন জ্বর সর্দি বা ভাইরাল ইনফেকশন হলে গ্লুকোজের চাহিদা বাড়ে।
* মহিলাদের গর্ভাবস্থায় গ্লুকোজের মাত্রা অধিক থাকে, কারণ মা ও গর্ভস্থ শিশু উভয়ের সুস্থতার জন্য অতিরিক্ত এনার্জি প্রয়োজন।
* কেমিক্যাল যুক্ত মেডিসিনের দুষ্প্রভাবে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এটা ক্ষণস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী দু'রকম হতে পারে।
* মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
* কখনো কখনো লিভার বা কিডনি রক্তে গ্লুকোজের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। এটি আসলে এক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া।
* প্যানক্রিয়াস তার হরমোন insulin ও glucagon দ্বারা গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।
অতএব পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুসারে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করে স্বয়ং শরীরের প্রকৃতি। এছাড়াও সুগারের মাত্রা নির্ভর করে প্রত্যেকের খাদ্যাভ্যাসের উপরে, প্রত্যেকের দৈনিক জীবনধারার উপরে, শারীরিক ও মানসিক সক্রিয়তা বা নিষ্ক্রিয়তার উপরে।
এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, প্রত্যেকের রক্তে সুগারের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন স্তরে স্থিত হতে পারে এবং বদলাতে পারে। এটাই হলো দেহতত্ত্ব বা প্রকৃত চিকিৎসা বিজ্ঞানের সত্য। এমতাবস্থায় সবার পক্ষে যদি একটি প্যারামিটার সেট করা হয় বা ব্লাডসুগারের নির্দিষ্ট সূচকাংঙ্ক নির্ধারণ করা হয়, তাহলে এটা কি সঠিক সিদ্ধান্ত? আবার এই সূচকাংঙ্কের আধারে কাউকে যদি ডায়াবেটিস রোগী বলে ঘোষণা করা হয়, তাহলে এটাও কি সঠিক সিদ্ধান্ত?
দেখুন, কোনো ব্যক্তির ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে কিনা তার প্রাথমিক ও প্রধান শর্ত হলো উপসর্গ। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে অন্য প্রতিবেদনে, সেটি আপনি দেখে নিতে পারেন।
তো যাই হোক, প্রয়োজন হলে সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই পারেন। আজও প্রচলিত আছে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন আয়ুর্বেদ হোমিওপ্যাথ ন্যাচারোপ্যাথ যোগ-চিকিৎসা ইত্যাদি।
Medical disclaimer-
এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। আতএব কোনো রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
~ রাম রানা
* ব্লাডসুগার বাড়া বা কমা হলো শরীরের সঠিক স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ, যাকে বলা হয় Homeostasis. অর্থাৎ প্রতিমুহূর্তে শরীরের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং বাহ্যিক প্রভাবের সাপেক্ষে সুস্থতা বজায় রাখার অনন্য কৌশল। এর সাথে যুক্ত থাকে কিছু Homeostatic factors. এইভাবে মানবদেহ তার Dynamic equilibrium (দুরন্ত ছন্দ) বজায় রাখে, যা সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
* সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে রক্তের সুগার ওঠা পড়া করে।
* আবার ঋতু বদলে গেলে সুগারের মাত্রাও পরিবর্তিত হয়, যেমন শীতকালে বেড়ে যায়।
* যৌন ক্রিয়াদির সময়ে বেড়ে যায়।
* মানসিক অবসাদ বা অস্থিরতার ফলে রক্তে গ্লুকোজ বাড়া থাকে।
* মাসিকধর্মে মহিলাদের ব্লাডসুগার বেড়ে যায়।
* আবার অসুখ বিসুখের উপর নির্ভর করে, যেমন জ্বর সর্দি বা ভাইরাল ইনফেকশন হলে গ্লুকোজের চাহিদা বাড়ে।
* মহিলাদের গর্ভাবস্থায় গ্লুকোজের মাত্রা অধিক থাকে, কারণ মা ও গর্ভস্থ শিশু উভয়ের সুস্থতার জন্য অতিরিক্ত এনার্জি প্রয়োজন।
* কেমিক্যাল যুক্ত মেডিসিনের দুষ্প্রভাবে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এটা ক্ষণস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী দু'রকম হতে পারে।
* মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
* কখনো কখনো লিভার বা কিডনি রক্তে গ্লুকোজের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। এটি আসলে এক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া।
* প্যানক্রিয়াস তার হরমোন insulin ও glucagon দ্বারা গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।
অতএব পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুসারে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করে স্বয়ং শরীরের প্রকৃতি। এছাড়াও সুগারের মাত্রা নির্ভর করে প্রত্যেকের খাদ্যাভ্যাসের উপরে, প্রত্যেকের দৈনিক জীবনধারার উপরে, শারীরিক ও মানসিক সক্রিয়তা বা নিষ্ক্রিয়তার উপরে।
এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, প্রত্যেকের রক্তে সুগারের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন স্তরে স্থিত হতে পারে এবং বদলাতে পারে। এটাই হলো দেহতত্ত্ব বা প্রকৃত চিকিৎসা বিজ্ঞানের সত্য। এমতাবস্থায় সবার পক্ষে যদি একটি প্যারামিটার সেট করা হয় বা ব্লাডসুগারের নির্দিষ্ট সূচকাংঙ্ক নির্ধারণ করা হয়, তাহলে এটা কি সঠিক সিদ্ধান্ত? আবার এই সূচকাংঙ্কের আধারে কাউকে যদি ডায়াবেটিস রোগী বলে ঘোষণা করা হয়, তাহলে এটাও কি সঠিক সিদ্ধান্ত?
দেখুন, কোনো ব্যক্তির ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে কিনা তার প্রাথমিক ও প্রধান শর্ত হলো উপসর্গ। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে অন্য প্রতিবেদনে, সেটি আপনি দেখে নিতে পারেন।
তো যাই হোক, প্রয়োজন হলে সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই পারেন। আজও প্রচলিত আছে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন আয়ুর্বেদ হোমিওপ্যাথ ন্যাচারোপ্যাথ যোগ-চিকিৎসা ইত্যাদি।
Medical disclaimer-
এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। আতএব কোনো রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
~ রাম রানা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন