জ্বর নিরাময়ের সহজ উপায় গরম জল ও আদা:
জ্বর নিয়ে মানুষ বরাবর ভুগতে থাকে, বিশেষত শিশুদের পীড়া আরো বেশি হয়। জ্বরের সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি। কিছু ক্ষেত্রে সর্দি কাশিও হতে পারে। এই জ্বর প্রতি বছর অনেক মানুষের ক্ষেত্রে একবার হতে পারে বা একাধিকবারও হতে পারে। সাধারণত ছোট শিশুরা একাধিকবার এই জ্বরের সমস্যায় পড়ে যায়।
এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জেনে রাখুন- জ্বর কোনো রোগ নয়, বরং রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা মূলক প্রতিক্রিয়া। বিশেষ কোনো ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে জ্বর উপসর্গটি দেখা যায়, অর্থাৎ ওই জীবাণুগুলোকে নষ্ট করতে শরীর স্বতন্ত্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে ২°-৪° ফারেনহাইট। এই অতিরিক্ত তাপ সহ্য করতে না পেরে জীবাণুরা মারা পড়ে। তাহলে এটাই বোঝা গেল যে- জ্বর কোনো রোগ নয়, বরং আরোগ্যকারী অভিব্যক্তি। তাই চিকিৎসা-বিজ্ঞান অনুসারে বা দেহতত্ত্ব অনুসারে কখনোই কৃত্রিমভাবে জ্বরকে থামিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাহলে আমাদের কি করনীয়?
জ্বর বা ভাইরাল ইনফেকশন থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভের দুটি উপায় আছে। প্রথমটি হল- ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিরাময়। এবং দ্বিতীয়টি হল- ৩০ মিনিটের মধ্যে নিরাময়।
# ২৪ ঘন্টার মধ্যে জ্বর নিরাময়-
যখনই প্রথম বোঝা যায় যে- শরীরে জ্বর-জ্বর ভাব লাগছে। তখন থেকে যেকোনো রান্না করা খাবার বা অগ্নিপক্ক খাদ্যবস্তু গ্রহণ করা যাবে না।
* তাহলে কি খাওয়া যেতে পারে- ফল ও কাঁচা সবজি, যেমন আম কলা কমলালেবু শসা টমেটো গাজর ইত্যাদি।
* কতটা পরিমান খেতে হবে- আপনার ক্ষুধা অনুসারে খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। এটাই হলো প্রধান ওষুধ।
এছাড়া শরীরটাকে সারাক্ষণ গরম রাখতে জামা কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে। দিনের বেলায় শরীরে রোদ লাগাতে পারলে খুব ভালো। হালকা গরম জল পান করা যেতে পারে। স্নান করা উচিত নয়, যদি খুব গরম লাগে বা স্নান করতে ইচ্ছে হয় তাহলে করতেই পারেন। জ্বরের সময়ে মাথায় জল দেওয়া বা জলপট্টি ব্যবহার করা উচিত নয়।
এভাবে যদি শরীরকে সাহায্য করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় উত্তাপ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ভাইরাস গুলো মারা পড়বে। অতঃপর জ্বর নিবৃত্ত হবে এবং সংক্রমিত ব্যক্তি নিরাপদে সেরে উঠবে এক দিনেই। পরের দিন জ্বর ফিরে আসবে না। যদি কারোর এক দিনে পুরোপুরি না সারে তবে দু' দিন পর্যন্ত নিয়মটা মেনে চলতে হবে।
# ৩০ মিনিটের মধ্যে জ্বর নিরাময়-
এক বালতি গরম জলে দু' পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। যতটা উত্তাপ সহ্য করা যায়, জল তত বেশি গরম হলে ভালো। শরীর গরম কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে। এই সময় এক টুকরো (প্রায় ২ গ্রাম) আদা সহযোগে প্রায় ২৫০ ml জল ফুটিয়ে পান করতে হবে গরম অবস্থায়, ধীরে ধীরে চা পান করার মতো। ৫-১০ মিনিটের মধ্যে বালতির জল ঠান্ডা হয়ে এলে, তা বদলে পুনরায় গরম জল দিতে হবে।
* কখন এই ক্রিয়া শুরু করতে হয়- যখনই জ্বর এসে যায় অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে বা বেড়ে গেছে ঠিক তখনই এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়।
* কতক্ষণ এই ক্রিয়া চলবে- প্রক্রিয়াটি চলাকালীন শরীরের তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকবে, এক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে ৩০-৫০ মিনিট। কিন্তু এর মধ্যেই একটা সময়ে জ্বর কমতে শুরু করবে, তখন এই ক্রিয়া থামিয়ে দিতে হবে। কারণ এটাই চূড়ান্ত নিরাময়। জ্বর দ্বিতীয়বার ফিরে আসবে না। যদি প্রথমবার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সঠিকভাবে না করা হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার জ্বর ফিরে আসতে পারে, তখন আরেকবার এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।
ঈশ্বরের কৃপায় সবাই অবশ্যই সুস্থ থাকুন, তবু যদি ভাইরাল ইনফেকশন বা জ্বর হয়েই যায় তাহলে এই নীতি প্রয়োগ করবেন, বিশেষত পথ্য ভিত্তিক প্রথম নীতিটা যা খুব সহজ পদ্ধতি। এবং অবশ্যই সুফল লাভ করবেন।
স্মরণে রাখবেন যে, জ্বর হলে বা শারীরিক সমস্যা হলে সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই পারেন। আজও প্রচলিত আছে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন আয়ুর্বেদ হোমিওপ্যাথি ন্যাচারোপ্যাথি ইত্যাদি।
Medical disclaimer-
এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। আতএব কোনো রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
~ রাম রানা
এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জেনে রাখুন- জ্বর কোনো রোগ নয়, বরং রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা মূলক প্রতিক্রিয়া। বিশেষ কোনো ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে জ্বর উপসর্গটি দেখা যায়, অর্থাৎ ওই জীবাণুগুলোকে নষ্ট করতে শরীর স্বতন্ত্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে ২°-৪° ফারেনহাইট। এই অতিরিক্ত তাপ সহ্য করতে না পেরে জীবাণুরা মারা পড়ে। তাহলে এটাই বোঝা গেল যে- জ্বর কোনো রোগ নয়, বরং আরোগ্যকারী অভিব্যক্তি। তাই চিকিৎসা-বিজ্ঞান অনুসারে বা দেহতত্ত্ব অনুসারে কখনোই কৃত্রিমভাবে জ্বরকে থামিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাহলে আমাদের কি করনীয়?
জ্বর বা ভাইরাল ইনফেকশন থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভের দুটি উপায় আছে। প্রথমটি হল- ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিরাময়। এবং দ্বিতীয়টি হল- ৩০ মিনিটের মধ্যে নিরাময়।
# ২৪ ঘন্টার মধ্যে জ্বর নিরাময়-
যখনই প্রথম বোঝা যায় যে- শরীরে জ্বর-জ্বর ভাব লাগছে। তখন থেকে যেকোনো রান্না করা খাবার বা অগ্নিপক্ক খাদ্যবস্তু গ্রহণ করা যাবে না।
* তাহলে কি খাওয়া যেতে পারে- ফল ও কাঁচা সবজি, যেমন আম কলা কমলালেবু শসা টমেটো গাজর ইত্যাদি।
* কতটা পরিমান খেতে হবে- আপনার ক্ষুধা অনুসারে খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। এটাই হলো প্রধান ওষুধ।
এছাড়া শরীরটাকে সারাক্ষণ গরম রাখতে জামা কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে। দিনের বেলায় শরীরে রোদ লাগাতে পারলে খুব ভালো। হালকা গরম জল পান করা যেতে পারে। স্নান করা উচিত নয়, যদি খুব গরম লাগে বা স্নান করতে ইচ্ছে হয় তাহলে করতেই পারেন। জ্বরের সময়ে মাথায় জল দেওয়া বা জলপট্টি ব্যবহার করা উচিত নয়।
এভাবে যদি শরীরকে সাহায্য করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় উত্তাপ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ভাইরাস গুলো মারা পড়বে। অতঃপর জ্বর নিবৃত্ত হবে এবং সংক্রমিত ব্যক্তি নিরাপদে সেরে উঠবে এক দিনেই। পরের দিন জ্বর ফিরে আসবে না। যদি কারোর এক দিনে পুরোপুরি না সারে তবে দু' দিন পর্যন্ত নিয়মটা মেনে চলতে হবে।
# ৩০ মিনিটের মধ্যে জ্বর নিরাময়-
এক বালতি গরম জলে দু' পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। যতটা উত্তাপ সহ্য করা যায়, জল তত বেশি গরম হলে ভালো। শরীর গরম কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে। এই সময় এক টুকরো (প্রায় ২ গ্রাম) আদা সহযোগে প্রায় ২৫০ ml জল ফুটিয়ে পান করতে হবে গরম অবস্থায়, ধীরে ধীরে চা পান করার মতো। ৫-১০ মিনিটের মধ্যে বালতির জল ঠান্ডা হয়ে এলে, তা বদলে পুনরায় গরম জল দিতে হবে।
* কখন এই ক্রিয়া শুরু করতে হয়- যখনই জ্বর এসে যায় অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে বা বেড়ে গেছে ঠিক তখনই এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়।
* কতক্ষণ এই ক্রিয়া চলবে- প্রক্রিয়াটি চলাকালীন শরীরের তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকবে, এক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে ৩০-৫০ মিনিট। কিন্তু এর মধ্যেই একটা সময়ে জ্বর কমতে শুরু করবে, তখন এই ক্রিয়া থামিয়ে দিতে হবে। কারণ এটাই চূড়ান্ত নিরাময়। জ্বর দ্বিতীয়বার ফিরে আসবে না। যদি প্রথমবার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সঠিকভাবে না করা হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার জ্বর ফিরে আসতে পারে, তখন আরেকবার এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।
ঈশ্বরের কৃপায় সবাই অবশ্যই সুস্থ থাকুন, তবু যদি ভাইরাল ইনফেকশন বা জ্বর হয়েই যায় তাহলে এই নীতি প্রয়োগ করবেন, বিশেষত পথ্য ভিত্তিক প্রথম নীতিটা যা খুব সহজ পদ্ধতি। এবং অবশ্যই সুফল লাভ করবেন।
স্মরণে রাখবেন যে, জ্বর হলে বা শারীরিক সমস্যা হলে সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই পারেন। আজও প্রচলিত আছে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন আয়ুর্বেদ হোমিওপ্যাথি ন্যাচারোপ্যাথি ইত্যাদি।
Medical disclaimer-
এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। আতএব কোনো রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
~ রাম রানা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন